নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শ্যাম্পুর দাম কম না রাখায় বরিশাল নগরীর বান্দ রোডের এক ফার্মেসি মালিকের মোটরসাইকেল অবৈধ পার্কিংয়ের মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সার্জেন্ট শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ওই মোটরসাইকেলের আশপাশে আরও অন্তত অর্ধশত মোটরসাইকেল একইভাবে পার্কিং করা থাকলেও সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ওই ফার্মেসি মালিকের মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্য ফার্মেসির মালিকরা। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জাকির হোসেন মজুমদার। শনিবার সকালে বান্দ রোডের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে হাওলাদার ফার্মেসিতে শ্যাম্পু কিনতে যান ট্রাফিক সার্জেন্ট শহীদুল ইসলাম। ফার্মেসি মালিক খলিলুর রহমান শ্যাম্পুর দাম ২৩০ টাকা চান। সার্জেন্ট শহীদুল দাম কমিয়ে রাখার আবদার করলে দোকানী ১০ টাকা দাম কমিয়ে দেন। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে সার্জেন্ট শহীদুল দোকানির কেনা দামে শ্যাম্পু নিতে চান। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে শেষ পর্যন্ত ২২০ টাকায় শ্যাম্পু নিয়ে যাওয়ার সময় ফার্মেসি মালিক খলিলুর রহমানকে দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন সার্জেন্ট শহীদুল ইসলাম। এ ঘটনার জের ধরে গত শনিবার রাত পৌঁনে ৮টার দিকে হাওলাদার ফার্মেসিতে গিয়ে ফার্মেসির সামনে বান্দ রোডে পার্কিং করা মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চায় সার্জেন্ট শহীদুল ইসলাম। এক পর্যায়ে অবৈধ পার্কিংয়ের অভিযোগে খলিলুর রহমানের হোন্ডা সিডিআই-১০০ সিসি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ৩ হাজার টাকার মামলা দেন শহীদুল। একই সময়ে হাওলাদার ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যাওয়া আদালতের এক কর্মচারীর মোটরসাইকেল অবৈধ পার্কিং করার অভিযোগে আরেকটি মামলা দেন তিনি। আশপাশে আরও অন্তত অর্ধশত মোটরসাইকেল একইভাবে পার্কিং করা থাকলেও সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে শুধুমাত্র ওই ফার্মেসি মালিক এবং তার ক্রেতার মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনিসহ অন্যরা। গতকাল সকালে হওলাদার ফার্মেসিতে শ্যাম্পু কিনতে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন সার্জেন্ট শহীদুল ইসলাম। দর কষাকষি করে ২২০ টাকায় শ্যাম্পু কিনে নিয়েছেন বলে জানান। শ্যাম্পুর দাম কম না রাখায় ব্যক্তি আক্রোশে ওই ফার্মেসি মালিকের মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ব্যক্তি আক্রোশে কারও বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া অন্যায়। ব্যক্তিগত রাগ অনুরাগ-অভিমান পুলিশ বিভাগের উপর চাপিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে ভৎর্সনা করা কিংবা প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply